শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ শুরু করার প্রক্রিয়া ?/ How to start Investing?

  


শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ শুরু করার প্রক্রিয়া ?/ How to start Investing?

শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ ঝুঁকিপূর্ণ । তবে জেনে-বুঝে,শিখে বিনিয়োগ করতে পারলে আপনিও স্বল্প পরিশ্রমে অন্যান্য বিভিন্ন রকম বিনিয়োগ থেকে বেশি লাভবান হতে পারবেনশেয়ার বাজারে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে আপনার প্রথম সিদ্ধান্ত হবে যে  আপনি শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ করবেন কিনা এবং বিনিয়োগের আগে শেয়ার বাজার সম্পর্কে ভালভাবে জেনে শেয়ার বাজারে যে আপনি লাভবান হতে পারবেন সেই আস্থা নিজের উপর তৈরি করতে হবে। এছাড়াও আপনি কিভাবে বিনিয়োগ করবেন,কত সময়ের জন্য বিনিয়োগ করবেন,সঞ্চয়ের কতটুকু বিনিয়োগ করবেন,কতটুকু পরিমাণ ঝুঁকি গ্রহণ করার ক্ষমতা আপনার রয়েছে, বিনিয়োগ কৌশল ইত্যাদি সম্পর্কে আপনার ধারণা সিদ্ধান্ত দুটোই শেয়ার বাজারে বিনিয়োগের জন্য  জরুরি

আর এইসব কিছুর ধারণা নিয়ে আপনাকে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে আমাদের website এর বিভিন্ন পোস্ট আপনাদের জন্য ফলপ্রসূ ভূমিকা পালন করবে

শেয়ার বাজার সম্পর্কে সবকিছু জেনে যখন আপনি সংকল্পবদ্ধ হয়েছেন যে আপনি  শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ করবেন চলুন জেনে নেই কিভাবে শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ  লেনদেন করতে হয়।

ধাপ ১-ব্যাংক একাউন্ট খোলাঃ/ Open a Bank Account.

শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ করতে হলে সর্বপ্রথম একটি ব্যাংক একাউন্ট খুলতে হবেএই ক্ষেত্রে বাংলাদেশের যেকোনো ব্যাংকে একাউন্ট খোলা যাবেতবে যে সকল ব্যাংকে অনলাইন বা ইন্টারনেট সার্ভিস আছে এবং যেখানে সহজে App এর মাধ্যমে টাকা ট্রান্সফার করা যায় এরূপ ব্যাংকে একাউন্ট খুললে সময় এবং শ্রম দুটোই বাঁচবে

ব্যাংক একাউন্ট খুলতে যা যা প্রয়োজনঃ

i)      নিজের নমিনির ছবি।

ii)     নিজের নমিনির ভোটার আইডি।

iii)   ই-টিন(যদি থাকে )

ধাপ ২-ব্রোকারেজ হাউজ নির্বাচন বিও একাউন্ট খলা / Select Brokerage House & Open BO Account:



ব্যাংক একাউন্ট খোলার পর বিও একাউন্ট খুলতে হয়বিও একাউন্টের মাধ্যমে শেয়ার বাজারে লেনদেন করা যাবেবিও একাউন্ট খুলতে হয় শেয়ার বাজারে নিবন্ধিত কোনো ব্রোকারেজ হাউজেএই ক্ষেত্রে ভালো কোনো ব্রোকারেজ হাউজ নির্বাচন করতে হবে। ভালো ব্রোকারেজ হাউজ নির্বাচনে বিবেচ্য বিষয়ঃ

  •  তুলনামূলক কম ব্রোকারেজ হাউজ ফি এবং ট্রেডিং কমিশন(বাংলাদেশে সর্বোচ্চ %)
  • বাজারে ব্রোকারের ভালো সুনাম
  • অনলাইন / ইন্টারনেটে সুযোগ সুবিধা
  • তড়িৎকাস্টমার সার্ভিস
  • সহজতর টাকা জমা উত্তোলন
  • প্রশিক্ষণ সুবিধা
  • অধিক নিরাপত্তা ব্যবস্হা তথ্যের গোপনীয়তা ইত্যাদি

(DSE তে নিবন্ধিত ব্রোকারেজ হাউজ তালিকা)

ব্রোকারেজ হাউজ নির্বাচনের পর উক্ত ব্রোকারেজ হাউজে বিও একাউন্ট ফর্মপূরণ করে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র প্রদান করে একাউন্ট খুলতে হবে আপনি সর্বোচ্চ ২টি বিও একাউন্ট খুলতে পারবেনএকটি নিজের নামেরঅপরটি জয়েন্ট একাউন্ট

বিও একাউন্ট খোলার জন্য প্রয়োজনীয় দলিলাদিঃ

  • নিজের  নমিনির ছবি।
  • নিজের নমিনির NID ফটোকপি।
  • ব্যাংক একাউন্ট স্টেটমেন্ট / চেক এর কপি।
  •   -টিন এর কপি।

ধাপ ৩- বিও একাউন্টে টাকা জমা/ Deposit in BO Account :

প্রয়োজনীয় কাগজপত্রে ব্রোকার বার্ষিক ফি জমা দেওয়ার - দিনের মধ্যে খোলা হয়ে যায়একাউন্ট খোলার পর বিও একাউন্ট টাকা জমা দিতে হয়এজন্য প্রথমে আপনার ব্রোকার হাউজের ব্যাংক একাউন্টে টাকা জমা দিতে হবেসরাসরি জমা দিতে পারবেন কিংবা অনলাইনের মাধ্যমে টাকা ট্রান্সফার করেও পারবেনটাকা জমা দেওয়ার প্রমাণস্বরূপ জমাস্লিপ বা অনলাইন ট্রান্সফারের স্কিনশর্টটি আপনার ব্রোকারের নিকট পৌঁছে দিলে তারা আপনার বিও একাউন্টে টাকা জমা করবে


ধাপ ৪-শেয়ার ক্রয়-বিক্রয় করা/Buy & Sell :



পরবর্তীতে আপনি আপনার জমাকৃত টাকার সমপরিমাণ টাকার শেয়ার ক্রয় করতে পারবেনএজন্য আপনাকে শেয়ার নির্বাচন করে আপনার অর্ডারটি প্লেস করতে হবে। 

নিম্নোক্ত উপায়ে শেয়ার ক্রয়-বিক্রয়ের অর্ডার দেওয়া যায়ঃ

  • টেলিফোন
  • ইমেইল
  • DSE mobile app
  • ব্রোকার হাউজের অনলাইন অ্যাপ
S

 শুনে নয়, জেনে, বুঝে, শিখে শেয়ার মার্কেট এ  বিনিয়োগ করুন।


 

 

Post a Comment

Previous Post Next Post